প্রায় সব ঋতুতেই চুলের সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে চুলের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাইরে চুল ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। আর চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আয়ুর্বেদিক উপায়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদিক (Ayurvedic) উপায় চুলের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।
আমলকির হেয়ার প্যাক (Amalaki-Hair Pack): আমলকিতে মধ্যে ভিটামিন সি এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করে, চুল পড়ার সমস্যা দূর করে এবং চুলের অকাল পক্কতার সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।
এছাড়াও, আমলকির মধ্যে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, গ্যালিক অ্যাসিড ও ক্যারোটিন রয়েছে, যা রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং চুল পড়ার সমস্যা দূর করে। তাই আমলকির হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুলের সব সমস্যা দূর হবে।
শিকাকাইয়ের তেল (Shikakai oli): ভিটামিন এ, সি, কে এবং ডি রয়েছে শিকাকাইয়ের মধ্যে। তাই শিকাকাই চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শিকাকাইয়ের তেল বানানোর জন্য এই শিকাকাই রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এরপর নারকেল তেলে ২ চামচ শিকাকাই গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সেই তেলের জারটা অন্ধকার জায়গায় রেখে দিতে হবে। এই তেল দিয়ে সপ্তাহে দু’বার স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ভৃঙ্গরাজের তেল (Bhringraj oli): চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভৃঙ্গরাজ খুব কার্যকরী। ভৃঙ্গরাজ তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায় এবং চুল তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। ভৃঙ্গরাজের তেল বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। ভৃঙ্গরাজের পাতা নিন এবং রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
ওই শুকনো ভৃঙ্গরাজের পাতাগুলো নারকেল তেলের জারের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এবার জারটা রোদের মধ্যে দু’দিন বসিয়ে রাখার পর তেলটা চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে মালিশ করতে হবে। এভাবে সারারাত রেখে পরেরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।