নিজের পদক বিক্রি করে করোনা মোকাবিলায় টাকা দিলেন ২৬/১১-র বীর কম্যান্ডো

নিজের পদক বিক্রি করে করোনা মোকাবিলায় টাকা দিলেন ২৬১১-র বীর কম্যান্ডো

আমাদের দেশ অনেক যুদ্ধ দেখেছে। কিন্তু সেগুলো ছিল দেশ বাঁচানোর যুদ্ধ, আর এখন দেশ যে যুদ্ধে লড়ছে তা হল মানবঅস্তিত্ব বাঁচানোর যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে সামিল হলেন ভারতের প্রাক্তন কম্যান্ডো যিনি এক যুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণের বাজি রেখে লড়েছিলেন। আরেক যুদ্ধে দেশের জন্য নিজের প্রিয় পদক বিক্রি করলেন।

প্রবীণ কুমার তেওটিয়া, একসময় ভারতের প্রাক্তন কম্যান্ডো ছিলেন ২৬/১১ এর মুম্বই হামলায় বুকে গুলি খেয়েছেন। সেই সন্ত্রাসবাদী যুদ্ধে নিজের জীবনের গূরুত্বপূর্ণ অংশ হারালেও ভেঙে পড়েননি বরং এখনও দেশের জন্য লড়ে যাচ্ছেন।

২৬/১১ মুম্বই হামলার তৃতীয় বাহিনী অর্থাৎ ‘অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো’ এর অংশ ছিলেন প্রবীণ কুমার তেওটিয়া। দুষ্কৃতীদের সাথে হামলায় তাঁর বুকে একটা নয়, দুটো নয় চারটে গুলি লাগে। ঈশ্বরের কৃপায় প্রাণে বেঁচে যান প্রবীণ বাবু কিন্তু একটি কানে শোনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। জীবন হাতে নিয়ে তিনি দেশের জন্য যে সাহসিকতার পরিচয় প্রবীণ বাবু দেন সেইজন্যে ভারতীয় সেনা তাঁকে শৌর্য চক্রে ভূষিত করেন।

এরপর তিনি ডেস্কের কাজে ফেরেন কিন্তু তখনও দেশের জন্য কিছু করার কথা ভাবছেন প্রবীণ বাবু। ঠিক করেন রানার হবেন। এরপরই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা শুরু করেন। ম্যারাথনে শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের মাটিতেও ভারতের নাম উজ্জ্বল করেন তিনি।  শুধু দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও জিতেছেন অনেক পদক। এখন সেই সব পদকই নিলামে বিক্রি করে দেশের কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াইতে পাশে থাকতে চান ভারত মায়ের এই বীর ‌সন্তান।

প্রবীণ বাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ত্রান তহবিলে দান করার কথা বলেন তখনই ঠিক করে ফেলি যে আমার ৪০ টি পদক আমি অনলাইনে নিলাম করবো। ইতিমধ্যে দুটি পদক বিক্রি করে ২ লাখ টাকা পাই, সেই ২ লাখ টাকা আমি পিএম কেয়ারস্‌ এ দিয়েছি। এই যুদ্ধ দেশের সবার যুদ্ধ। আমি যদি আমার রক্ত-ঘাম ঝড়ানো পদক নিলামে তুলতে পারি তাহলে আরও অনেকে অনুপ্রেরণা পাবেন।‘