ইতমধ্যেই দেশের বিভিন্ন দেশকে ধ্বংস করে প্যান্ডেমিক হয়ে ভারতে থাবা বসিয়েছে এই মহামারী। এমন পরিস্থিতিতে ভারতে লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে লাগু করা হলো মহামারী আইন। লক ডাউন কে কার্যকরী করতে যেমন সব স্তরের মানুষের মধ্যে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা তেমনই রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। তাদের দায়িত্ব রাস্তায় আম জনতা বেরিয়েছে নাকি সেই দিকে নজর রাখা এবং তাদের বাড়ির মধ্যে ঢোকানো।
এই মুহূর্তে আপামোর ভারতীয়রা এই পুলিশ কর্মীদের দিকেই তাকিয়ে আছে। সেই সময়ই অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে উল্টো দৃশ্য। লক ডাউনে সাধারণ মানুষকে বাড়িতে বাড়িতে ঢোকানোর জন্য কোথাও পুলিশ লাঠিপেটা করছে তো কোথাও লাথি ঘুষি মারছে। বাজারে ব্যাগ হতে মানুষদের ব্যাগ লাথি মেরে ফেলে দাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ওপর।সোশ্যাল মিডিয়াতে এরকম নানান ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
এই ভিডিওগুলি সাধারণ মানুষকে লাথি, ঘুষি বা ডান্ডার বাড়ি মেরে হেনস্থা করতে দেখা গেছে পুলিশকে। এই কথাই গিয়ে পৌঁছেছে নবান্ন তে। সেই ক্ষেত্রে অবশ্য সেইসব পুলিশ অফিসারদের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে নবান্নের থেকে। ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে ১২ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন। লক ডাউন পালন করার ক্ষেত্রে পুলিশের এরকম আচরণের জন্য ১২ জন পুলিশ কর্মীকে “ক্লোজ” করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসও দাওয়া হয়।
এই দিনগুলিতে মানুষের আবশ্যক প্রয়োজন সামগ্রীর দোকান গুলো খোলা থাকায় মানুষকে সেগুলি সংগ্রহ করতে বেরোতেই হচ্ছে, কিন্তু সেখানেই পুলিশের দাদাগিরির শিকার হতে হচ্ছে মানুষদের।চলছে লাঠিপেটা, মারধর। এই বিষয়টি নজরে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাধ্যায় এরও। যেসব পুলিশ আফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে করা হবে বিভাগীয় তদন্ত।
অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তাদের মধ্যে আছেন একজন আইসি,পাঁচজন সাব-ইন্সপেক্টর, ছ’জন মহিলা ও পুরুষ কনস্টেবল।তবে অভিযোগের তীরে শুধু তারাই নন, বরং আছে কিছু জন সিভিক ভলেন্টিয়ার এর বিরুদ্ধেও।নবান্নের তরফ থেকে রাজ্যের সব পুলিশকর্মী দের কড়া ভাবে জানানো হল যে শাসনের নামে কোনরকম দাদাগিরি কোনোভাবেই সহ্য করবেনা সরকার।কোনরকম অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।
এইযে শাস্তি হিসেবে যে পুলিশ কর্মীদের “ক্লোজ” করা হলো, তাদের ক্ষেত্রে কি পরিবর্তন হবে? পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য অনুসারে ক্লোজ করার অর্থ তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডিউটি থেকে বরখাস্ত করা হবে,এবং সেই সময় কোনো কাজের দায়িত্ব দাওয়া হবেনা তাকে। চলবে বিভাগীয় তদন্ত। এরকম অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে এসেছে তাদের পরবর্তী সময় সাসপেন্ড পর্যন্ত করা হতে পারে। এরকম ৪ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।