স্বাধীনতার গল্প বিয়ে বানানো এই ১০টি বাংলা সিনেমা যদি না দেখেন তাহলে চরম মিস

৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করার প্রস্তুতি চলছে সারা দেশ জুড়ে। ৭৫ বছর আগে প্রায় ২০০ বছরের রক্তক্ষয়ী অধ্যায় পেরোনোর পর স্বাধীনতা পেয়েছিল ভারত। ২০০ বছরের ইতিহাস, ইংরেজ শাসকদের শাসন ও শোষণ, ভারতীয় বীর বিপ্লবীদের আত্ম বলিদানের গল্প ছবি হয়ে বারবার ধরা পড়েছে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। আজ এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই ১০ ছবির (10 Best Bengali Patriotic Movie) তালিকা যেগুলো প্রত্যেক বাঙালিরই দেখা উচিত।

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন : ১৯৮৩ সালে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে স্বাধীনতাকামী একদল বিপ্লবী চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্রিটিশ পুলিশ এবং সহায়ক বাহিনীর অস্ত্রাগার লুন্ঠনের চেষ্টা করেন। এই গল্প নিয়ে দেশাত্মবোধক ছবি বানানো হয়েছিল টলিউডে। বাংলার দেশাত্মবোধক সিনেমার মধ্যে ছবিটি ছিল অন্যতম।

সব্যসাচী : উত্তম কুমার, সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত ‘সব্যসাচী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭ সালে। শরৎচন্দ্র চ্যাটার্জির রাজনৈতিক উপন্যাস ‘পথের দাবী’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বানানো হয়েছিল এই ছবিটি। জাতীয়তাবাদী গল্প এবং দেশপ্রেম নিয়ে এই ছবিটি দর্শকদের থেকে দারুণ প্রশংসাও পেয়েছিল।

আনন্দমঠ : ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘আনন্দমঠ’ নামের একটি কালজয়ী উপন্যাস রচনা করেন। এই উপন্যাসটিকে ছাপার বিরুদ্ধে আইন পাশ করিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। যদিও উপন্যাসটির গুপ্ত সংস্করণটি জনগণের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। এই উপন্যাস অবলম্বনেই বানানো হয় ‘আনন্দমঠ’ সিনেমাটি।

দেবী চৌধুরানী : বঙ্কিমচন্দ্রের আরেক অনবদ্য সৃষ্টি দেবী চৌধুরানী। ব্রিটিশ শাসকদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের কাহিনী, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট অবলম্বনে উপন্যাসটি লিখেছিলেন সাহিত্য সম্রাট। এই উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি ১৯৭৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন।

৪২ : দেশাত্মবোধের উপর ছবি দেখতে চাইছেন? তাহলে এখনই দেখে ফেলুন ৪২। ১৯৪২ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে বানানো হয়েছিল ছবিটি। সেই সময় দেশজুড়ে ভারতছাড়ো আন্দোলন চলছে। ছবিতে ব্রিটিশ অফিসারের ভূমিকায় বিকাশ রায় এতটাই সাবলীল অভিনয় করেন যে পরবর্তী দিনে দর্শকদের থেকে তার প্রাণ সংশয় দেখা দেয়।

সুভাষচন্দ্র : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের ছোটবেলার কাহিনী, কলেজ জীবন, আইসিএস পাশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক চর্চা এবং পরবর্তী দিনে পুলিশ তাকে কিভাবে গ্রেফতার করে সেই গল্প দেখানো হয়েছিল এই ছবিতে। এই ছবিটি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাসিক ছবি।

রাজকাহিনী : ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ভাগের যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল হাজার হাজার মানুষকে। সেই গল্প নিয়ে বানানো হয়েছিল এই ছবিটি। ছবিতে বেগমজানের ভূমিকায় ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অন্যান্য চরিত্র ছিলেন যীশু সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, সোহিনী সরকারি, সায়নী ঘোষ, শাশ্বত চ্যাটার্জি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং অন্যান্যরা।

ফেরারি ফৌজ : উৎপল দত্তের রচিত বিখ্যাত নাটকের গল্প অবলম্বনে বানানো হয়েছিল এই ছবিটি। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়রা।

মহা বিপ্লবী অরবিন্দ : অরবিন্দ ঘোষ ছিলেন বাংলার একজন অন্যতম স্বাধীনতা আন্দোলনকারী। বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করে দেশে ফিরে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আলিপুর বোমা মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তাকে। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে পন্ডিচেরিতে চলে যান। তার জীবন নিয়ে বানানো হয়েছিল ‘মহা বিপ্লবী অরবিন্দ’ ছবিটি।

আবার আসব ফিরে : এই ছবির পরিচালক ছিলেন রবি ওঝা। একটি রোমান্টিক গল্প কাহিনীতে পুনর্জন্ম এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের গল্পের মিশেলে তিনি বানিয়েছিলেন দেশাত্ববোধক এই সিনেমাটি। এই ছবিও দর্শকদের থেকে দারুণ প্রশংসা পায়।